নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের অভিযানে জন্ম নিবন্ধন সনদ জালিয়াতির সাথে জড়িত আরো ২ জন গ্রেফতার।
বুধবার (২৫ জানুয়ারী) অভিযান চালিয়ে এ দুইজন কে আটক করা হয়।
সিএমপির পুলিশ কমিশনার কৃঞ্চ পদ রায় বলেন, গত ২৫ জানুয়ারী চট্টগ্রাম মহানগরে জন্ম নিবন্ধন সনদ জালিয়াতির সাথে জড়িত ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। এসময় তাদের নিকট থেকে এই কার্যক্রমে ব্যবহৃত ২টি সিপিইউ, ২টি মনিটর, ২টি প্রিন্টার এবং ১টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, গতকাল ২৫ জানুয়ারী বিকালে একজন মহিলা ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে এসে তার জন্ম নিবন্ধন সনদের মূল কপি চাইলে জন্ম নিবন্ধন সনদে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় তার আবেদনটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভারে পূর্বে অবৈধভাবে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি কর্তৃক আপলোড কৃত ৪০৯ টি সনদের একটি। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে আবেদনটি ইপিজেড থানা এলাকার একটি কম্পিউটার দোকানদারের মাধ্যমে করেছে।
বাদি উক্ত বিষয়টি কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগকে অবহিত করলে অত্র বিভাগের একটি আভিযানিক টিম ঘটনাস্থল থেকে মণি দেবী নামে একজন নারীকে পুলিশি হেফাজতে নেয়। মণি দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং তার প্রথম জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকার পরও তার নামের টাইটেল পরিবর্তন এবং বয়স কমিয়ে সঠিক তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে অবৈধভাবে দ্বিতীয় জন্ম সনদ সংগ্রহ করেন মর্মে জানান। পরবর্তীতে মণি দেবীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নগরীর ইপিজেড থানা এলাকা থেকে কম্পিউটার দোকানদার মোঃ রাকিব হাসান প্রঃ হিমেলকে আটক করা হয় এবং তার হেফাজত হতে ভুয়া জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি কার্যক্রমে ব্যবহৃত ০২ টি সিপিইউ, ০২ টি মনিটর, ০২ টি প্রিটার এবং ০১ টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
জালিয়াতির সাথে জড়িত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ, উদ্ধারকৃত ডিভাইস এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পর্যালোচনায় জানা যায়, সে দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক পেইজ ও হোয়াটস্ এ্যাপ গ্রুপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সহায়তায় ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
সে একাধিক ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ সৃজন ও বিতরণ করেছে। পরবর্তীত উক্ত ব্যক্তিদের নিকট হতে তথ্য সংগ্রহ করে সরকার নির্ধারিত ওয়েব সাইটে ব্যক্তির ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে প্রাথমিক নিবন্ধন করে এবং উক্ত তথ্যাদি তাদের চক্রের অপর একজন সদস্যকে ফেসবুক ও হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রদান করে। উক্ত চক্রের সদস্যরা অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন সার্ভারে প্রবেশ করে জাল জন্মসনদ প্রস্তুত করে পুনঃরায় চক্রের এ সদস্যদের প্রেরণ করে এবং টাকার বিনিময়ে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে বিভিন্ন জনের নিকট সরবরাহ করে থাকে।